পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।
শনিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দলনেত্রী। তৃণমূলের প্রার্থীরা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রীরা, জেলা সভাপতি ও দলের শীর্ষ নেতারা।
Read More News
বৈঠকের পরই মমতা নিজের এই ইচ্ছার কথা সামনে আনেন। তাঁর অভিযোগ, গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে আমাকে কোনো কাজ করতে দেওয়া হয়নি। জরুরি অবস্থার মধ্যে নির্বাচন করা হয়েছে। আমি খুব অপমানকর কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকার চালিয়ে এসেছি। নির্বাচন কমিশনের দয়ায় আমি মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম ঠিকই কিন্তু আমার হাতে কোনো ক্ষমতা ছিল না। আজ বৈঠকের শুরুতেই বলেছিলাম যে আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই না। যেখানে রুপি দিয়ে গণতন্ত্র গড়া হয়, সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্টরা সরকার চালায়, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমি দলকেও বুঝিয়েছি, কিন্তু ওরা কিছুতেই আমার এটাকে গ্রহণ করেনি। তাই দলের সর্বসম্মতিতেই আমাকে কাজ চালাতে হচ্ছে।’
বিজেপির বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে এই রুপি বিলি করা হয়েছে।
মমতার অভিযোগ, গোটা নির্বাচন কমিশনটা বিজেপির পার্টি হয়ে গেছে। আমাদের একটা কথাও শোনেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীও আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।
এদিকে ভারতের জাতীয় নির্বাচনে বাঁধভাঙা জয়ের পর, চলছে নতুন সরকার গঠনের তোড়জোড়। ভেঙে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভা। আনুষ্ঠানিকভাবে, প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদিকেই নির্বাচিত করেছে জোট এনডিএ।