মেয়েকে ভর্তির জন্য স্কুলে গিয়ে গণপিটুনিতে হত্যার শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর (৪০) দাফন লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় তাসলিমার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হলে বৃদ্ধা মা’সহ স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারী হয়ে ওঠে। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এ সময় পরিবারের লোকজন গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Read More News
তাসলিমার মৃত্যুর পর অসহায় হয়ে পড়েছে তাঁর ছোট মেয়ে তাসনিম তুবা। মায়ের কথা মনে পড়লেই কেঁদে উঠছে সে। তখন তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে রাখছে স্বজনরা। কখনো বলছে, আম্মু নিচে গেছে। তার জন্য ড্রেস নিয়ে আসবে। কখনো মজার খাবারের আশ্বাস দিয়ে চুপ রাখছে। কখনো বিভিন্ন রকমের খেলার সামগ্রী দিয়ে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে রাখছে।
জানা গেছে, তাসলিমারা এক ভাই ও পাঁচ বোন। তিনি সবার ছোট। পড়ালেখা শেষে তিনি ঢাকায় আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেছিলেন। প্রাইভেটও পড়াতেন তিনি। পারিবারিক কলহের কারণে দুই বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁর। বিচ্ছেদের পর ছেলে তাসফিক আল মাহি (১১) বাবার সঙ্গে থাকে। মেয়ে তাসলিমা তুবা (৪) থাকত মায়ের কাছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বড় ভাই আলী আজগরের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল তাসলিমার। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া হলো না তাঁর। নির্মম মৃত্যুতে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।