শুক্রবার ফতেবাদ এলাকায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, হরিয়ানায় কন্যাসন্তান জন্মের হার খুবই কম। সরকার বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি চালু করেছে। যার জেরে সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরই কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমার মন্ত্রী ও.পি. ধনখড় বলতেন, বিহার থেকে পুত্রবধূ আনতে হবে। তবে আজকাল লোকে বলছে, কাশ্মীরের রাস্তা খুলেছে। কাশ্মীর থেকে আমরা মেয়ে আনতে পারব।
Read More News
খট্টরের এই মন্তব্যের জেরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আমরা যাঁরা সরকারি পদে রয়েছি, তাঁদের জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকা উচিত। এই ধরনের মন্তব্য শুধু জম্মু-কাশ্মীর নয়, গোটা দেশের জন্যই যন্ত্রণাদায়ক।
এর আগে টুইটারে খট্টরের মন্তব্যের নিন্দা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের মহিলাদের নিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী খট্টরের মন্তব্য জঘন্য। এর থেকে বোঝা যায়, দুর্বলদের উপর RSS-এর প্রশিক্ষণের কী প্রভাব পড়ে। পুরুষদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোনও সম্পত্তি নয় মহিলা।’
৩৭০ ধারা বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা অনুযায়ী, এবার কাশ্মীরে জমি কিনে বসবাস করতে পারবেন দেশের অন্য রাজ্যের নাগরিকরা। পাশাপাশি কাশ্মীরের বাইরে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন সেখানকার যুবতীরা। সেই আইনও বাতিল হয়ে গিয়েছে। এরপরই কাশ্মীরের যুবতীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।