ফেসবুক-ইন্টারনেটে পর্নো ছবি, পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতির অনুকরণ ও শিক্ষাঙ্গনে মাদকের ছড়াছড়ির কারণে খুন বা আত্মহত্যা। পারিবারিক সামাজিক অবক্ষয়ের এমন নির্মম পরিণতি ঘটছে অহরহ। দুই সন্তানের জননীর সাথে কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রের পরকীয়া। এরপর স্বামী খুন। নিত্যনতুন মাত্রায় আবির্ভূত হচ্ছে পাপাচার। মা- বাবার পরকীয়ার কারণে সন্তান হত্যার খবর এখন গণমাধ্যমের নিয়মিত শিরোনাম।
Read More News
মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী পালিয়ে গেল এক যুবকের সাথে। পরে দেখা গেল ছেলেটি আসলে মাদকাসক্ত। ভেঙে খান খান হয়ে গেল তরুণীর স্বপ্ন। সমাজসংসার আপনজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন তার আশ্রয় গার্মেন্ট কারখানায়।
আবার প্রেম প্রত্যাখ্যান, ইভটিজিং, ধর্ষণ এবং শারীরিক সম্পর্কের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশের কারণে তরুণীরা একের পর এক বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণীদের প্রেম, পালিয়ে বিয়ে এবং পরকীয়ার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীরাকারণে পারিবারিক, সামাজিক অস্থিরতা এবং নানাবিধ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা দিন দিন বাড়ছে নতুন নতুন মাত্রায়।
প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার সামাজিক অবক্ষয় অনাচার বিস্তারের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি সন্তানদের প্রতি মা-বাবার মনোযোগের অবহেলা, ধর্মীয় এবং নীতি-নৈতিকতা চর্চার অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নানাবিধ অনাচার। বিপরীতক্রমে পর্নোগ্রাফিসহ অশ্লীলতা এবং যৌনতার জোয়ারে ভেঙে যাচ্ছে ধর্মীয়, পারিবারিক, সামাজিক এবং নৈতিক মূল্যবোধ। ছড়িয়ে পড়ছে লজ্জাহীনতা, অবাধ মেলামেশা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও তরুণ-তরুণীরা জড়িয়ে পড়ছে অনৈতিক সম্পর্কে।
সমাজের ভেতরে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে নানাক্ষেত্রে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রকাশ ঘটতে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এখন এ ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। অবক্ষয়ের যে জোয়ার চলছে তাতে ভবিষ্যতে আরো নানা ধরনের অনাচার, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা এবং শিউরে ওঠার মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে থাকবে একের পর এক।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, সমাজে সব নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, অনাচার এবং পাপাচারের মূলে রয়েছে অধর্ম। ধর্মের সঠিক অনুশাসন মেনে চললেই কেবল মানুষ এসব থেকে মুক্তি পেতে পারে।
জীবনের প্রতি চূড়ান্ত হতাশা এবং আস্থাহীনতা থেকেই মানুষ শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নেয়। আল্লাহর প্রতি আস্থা, ভরসা এবং নির্ভরতাই পারে মানুষকে এ হতাশা থেকে ফিরিয়ে আনতে। সেই সাথে সমাজ থেকে পাপাচার, শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্য দূর করতে হবে। তাহলেই মানুষ এ সঙ্কট থেকে মুক্তি পাবে।