ভোটে বিলম্ব নয়, সুস্পষ্ট বক্তব্য চায় বিএনপি পঞ্চদশ সংশোধনীর বিষয়ে হাই কোর্টের রায়কে স্বাগত, হাসিনার অধীনে সব নির্বাচনই অবৈধ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে, সেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্বের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছে।

তিনি গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বিএনপি মনে করে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।
Read More News

মির্জা ফখরুল ইসলাম জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। সেই সভায় গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপদেষ্টার ভাষণের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়। তিনি বলেন, সভা মনে করে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলা হলেও নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেন, যা একেবারেই অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ নেই। অথচ তার প্রেস সচিব বলেন যে, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা পরস্পরবিরোধী। পঞ্চদশ সংশোধনী বিষয়ে হাই কোর্টের রায় নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাই, অ্যাপ্রিসিয়েট করি। আদালত স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, নির্বাচিত পরবর্তী সংসদই সংবিধান সংশোধনীর একমাত্র উপযুক্ত ফোরাম।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সংশোধনীর শুনানিতে আমরা যে বক্তব্যগুলো দিয়েছিলাম, আমাদের তরফ থেকে যেটা অ্যাপ্লাই করেছিলাম, সেখানে আমরা কিছু পরিবর্তন করে কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেটা পুরোপুরিভাবে আসেনি। গত বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি যে, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সব নির্বাচনই অবৈধ হয়েছে। সেই কারণে আমরা স্থানীয় সরকারগুলো ভেঙে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। সবগুলো ভাঙা হয়েছে কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদটা করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *